Subscribe Our YouTube Channel Subscribe!

চায়না থেকে পণ্য আমদানি করে ব্যবসা করবেন যেভাবে (সম্পূর্ণ গাইডলাইন) Import Export Business in Bangladesh

চায়না থেকে পণ্য আমদানি করে বিজনেস, ইমপোর্ট এক্সপোর্ট ব্যাবসা, বিজনেস আইডিয়া,
Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 চায়না থেকে পণ্য আমদানি করে ব্যবসা করবেন যেভাবে

বাংলাদেশ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ২.৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার দামের জিনিস আমদানি করে চায়না থেকে। যেটা আমাদের ইতিহাসে হায়েস্ট কিন্তু অবাক হওয়ার মতো ফ্যাক্টর টা কি জানেন ঠিক তারপরের বছরই মানে ২০২২ সালের জুন মাসে আমরা আবার ২.০৬ বিলিয়ন ডলার ভ্যালুর প্রোডাক্ট ইমপোর্ট করেছি। মানে এই ডিসেম্বরে আনা দুই বিলিয়ন ডলার দামের যত প্রোডাক্ট এই সবগুলো অলরেডি আমাদের মার্কেট Consume করে ফেলেছে। দুই বিলিয়ন ইউএস ডলার মানে বিশ হাজার কোটি টাকা। যদি ধরি প্রত্যেকটা প্রোডাক্টের হয়তো বা ২০ থেকে ৩০% প্রফিট মার্জিন থাকে তাহলে এখন আপনি চিন্তা করতেছেন তাহলে তো এই ইমপোর্ট বিজনেসে আমাদের যাওয়া দরকার। বিশ হাজার কোটি টাকা বাদ দেন ২ লাখ টাকাও তো কম না।

তাই আজকে আমি এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে আলোচনা করব কিভাবে চায়না থেকে আপনারা ইমপোর্ট বিজনেস করতে পারেন। স্টেপস গুলা কি কি? লিগ্যাল কাগজপত্র কি কি লাগবে? রিস্ক কেমন? প্রফিট কেমন? আর আল্টিমেটলি চায়না থেকে ইমপোর্ট করে কিভাবে আপনি সাকসেসফুলি বিজনেসটা করতে পারবেন! এইসব নিয়েই আলোচনা করব এই আর্টিকেল।

বাংলাদেশ সরকার বেশ কয়েক বছর ধরে ইমপোর্ট বেজ বিজনেস গুলো থেকে এক্সপোর্ট বেজ বিজনেস গুলোর প্রতি বেশি জোর দিচ্ছে। এক্সপোর্ট এর উপর ইন্সেন্টিভ দেওয়া শুরু করে চায়নার সাথে ডিউটি ফ্রী এক্সপোর্ট এসব ডিল করে এক্সপোর্টকে বাড়ানোর আরো চেষ্টা করা হচ্ছে। এবং এটা খুবই স্বাভাবিক যত বেশি এক্সপোর্ট হবে বাংলাদেশ তত বেশি ডলার ঢুকবে বেশি বেশি ডলার মানে রিজার্ভের ডলারের এমাউন্টও বেশি থাকবে। এতে করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা  আরো বেটার হবে। কিন্তু মানুষের তো ডিমান্ড আছে তাই না আমরা যা চাই বা ডিমান্ড করি তার সবকিছুই তো বাংলাদেশে প্রডিউসড হয় না স্বাভাবিকভাবেই। আর এখানেই খেলায়  আসে। ইমপোর্টাররা কিন্তু এই খেলায় জয়েন করতে হলে শুরুতেই আপনার কিছু ডকুমেন্টেশন লাগবে। প্রথমেই আপনার লাগবে আইআরসি বা ইমপোর্ট রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট। IRC পাওয়ার পর আপনার আরো কিছু কাজ করা লাগবে। যেমন ট্রেড লাইসেন্স, টেক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার, এন আই ডি কার্ড, একটা বিজনেস ব্যাংক একাউন্ট, যেকোনো সরকারিভাবে রিকগনাইজড ট্রেড এসোসিয়েশন থেকে মেম্বারশিপ সার্টিফিকেট, আর আপনি যদি কোন কোম্পানির আন্ডারে আইআরসি চান সেক্ষেত্রে সার্টিফিকেট অফ ইনকর্পোরেশন। এই সবকিছু আপনি খুব সহজেই একজন লইয়ার এর মাধ্যমে গুছিয়ে নিতে পারবেন। তারপর সেটা আপনাকে ডাকযোগে বা মেইলে সাবমিট করতে হবে আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে। এই সব কিছু পেয়ে যাবেন এই সাইটে - https://www.ccie.gov.bd/



এখন আপনি ধরেন IRC পেয়ে গেলেন। তারপর আপনি কি প্রোডাক্ট আনতে চান সেটা সিলেক্ট করবেন। সেটা করার জন্য আপনাকে একটু মার্কেট স্টাডি বা রিসার্চ করতে হবে যে কোন প্রোডাক্ট এর একচুয়ালি মার্কেটের ডিমান্ড রয়েছে। ঠিক তারপরে আপনাকে একজন সেলার খুঁজে বের করতে হবে। এটাও আবার একটু জটিল প্রসেস। এর জন্য বেস্ট ওয়ে হচ্ছে ক্যান্টন ফেয়ার বা চায়না ইমপোর্ট এবং এক্সপোর্ট ফেয়ার। ঐখানে চায়নার সব সেরা সেরা সেলার আসে তাদের প্রোডাক্ট নিয়ে। চায়নাতে গিয়ে আপনি নিজের চোখেও দেখে আসতে পারেন। অথবা আপনি আরেকটি কাজ করতে পারেন সেটা হচ্ছে আপনি অনলাইনে সার্চ করতে পারেন। তো প্রথমটা একটু কস্টলি এবং সেকেন্ডটা একটু ভেরিফাইড করার ভয় থাকে। আর স্বাভাবিকভাবে অনলাইনে কেনাবেচা একটু ভয়  থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কেন ভয় থাকে সেটা এই আর্টিকেল এ আলোচনা নাই করি।



যাই হোক ধরেন অর্ডার প্লেস করার পর এখন টাকা পয়সার ব্যাপার। আপনার সেলার এর কাছ থেকে পাওয়া ইন ভয়েস বা IRC এর কপি ট্রেড লাইসেন্সের কপি আর ১৩ ডিজিটের ভেট নাম্বার নিয়ে আপনাকে ব্যাংকে যেতে হবে ব্যাংক সেগুলোর ভেরিফাই করে আপনাকে একটা এলসি জেনারেট করে দিবে সেই ইলসি আপনি ম্যানুফ্যাকচার এর কাছে পাঠাবেন সেটা দিয়ে সে টাকা তুলবে এবং প্রোডাক্ট আপনার কাছে পাঠিয়ে দিবে। সেই প্রোডাক্টটা আপনার কাছে আকাশ পথেও আসতে পারে বা সমুদ্র পথেও আসতে পারে। সেই ব্যাপারটা আপনি আর সেলার ডিসকাস করে নিবেন। আপনি কিন্তু বাংলাদেশে বসে চাইনিজ থেকে প্রোডাক্ট কেনার জন্য ত্রিশ হাজার চাইনিজ Yuan এর চেয়ে বেশি খরচ করতে পারবেন না এইটা কিন্তু মাথায় রাখতে হবে। আপনি যদি মোবাইল আনতে চান তাহলে আপনার বিডিআরসির অথরাইজেশন লাগবে এবং গাড়ির ক্ষেত্রেও এইটা সেম। আর আপনি যদি কোন ডিপ্লোমেটিক আর Privileged Channel এর মাধ্যমে নিয়ে আসেন তাহলে ডিউটি একদম ফ্রি। আপনার প্রোডাক্ট যখন আসবে তখন আমাদের যে কোন একটা পোর্ট এ এসে নামবে এখন আপনার প্রোডাক্ট লিগ্যাল কিনা আপনি যেই প্রোডাক্ট চেয়েছেন সেটাই আসছে কি না কাগজপত্র সব ক্লিয়ার করে জিনিসটা বের করে নিয়ে আসার জন্য আপনার একজন মানুষের হেল্প লাগবে। সেই মানুষটা হলো C&F AGENT. 

আপনি যদি মার্কেটে ইমপোর্ট এক্সপোর্ট বিজনেস নিয়ে আরো একটু রিসার্চ করেন তাহলে কিন্তু বাংলাদেশে অনেকগুলো কোম্পানির সন্ধান পেয়ে যাবেন যেগুলো উপরোক্ত কোন ঝামেলা ছাড়াই আপনাকে বিদেশ থেকে পণ্য এনে দিতে পারবে। উপরে আলোচনাকৃত কোন কাগজ পাতির ঝামেলায় আপনাকে করতে হবে আপনি শুধু তাদেরকে বলবেন আপনি কোন প্রোডাক্ট কোন পরিমাণে চাচ্ছেন তারাই আপনাকে এনে দিবে।

যাই হোক ২০২১ সালে বাংলাদেশ প্রায় ৮৫ বিলিয়ন ডলারের প্রোডাক্ট ইমপোর্ট করেছে প্রতি বছর আমাদের কম করে হলেও ৫০ বিলিয়ন ডলারের প্রোডাক্ট লাগে। তারমানে বাজার কিন্তু বেশ বড় তাহলে এই মার্কেটে আরো বেশি মানুষ যোগ দিচ্ছে না কেন? এইখানে সবচেয়ে বড় ফেয়ার ফ্যাক্টর টা হচ্ছে ট্রাস্ট ইস্যু। আমাদের দেশে যখন কেউ কোন প্রোডাক্ট বাইরে থেকে নিয়ে আসে তখন তার কোন পরিচিত কাউকে দিয়ে প্রোডাক্ট সাধারণত নিয়ে আসে অথবা ওই যে মাল্টিপ্ল্যান বা আইডিবি ভবনে যদি আপনি যান দেখতে পারবেন একটা মানুষ চেয়ার এবং টেবিল নিয়ে বসে আছে। ওদেরকে গিয়ে যদি বলেন আপনার কোন দেশ থেকে কোন প্রোডাক্ট লাগবে তাহলে তারাই ম্যানেজ করে দিবে। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল ট্রান্সপোর্ট কিন্তু একটু সময়ের ব্যাপার। কাস্টমসের কাহিনী তো বুঝিনি প্রডাক্ট ছাড়ানো কিন্তু অনেক বড় একটা Hassle এর ব্যাপার।

আরে লম্বা জার্নিতে অনেক সময় জিনিসও নষ্ট হয়ে যায়। দেখা যায় যে এই কাস্টমসের প্রোডাক্ট যখন ছাড়াতে একটু ডিলে হয় তখন এসব মানুষকে ফোন দিয়ে আর পাওয়া যায় না তখন আসলে আপনি বিপদে পড়ে যাবেন। তাহলে এখন উপায়টা কি?

আপনি যদি আসলেই এক্সপোর্ট ইমপোর্ট এর বিজনেস সিরিয়াসলি নামতে চান একদম কোমর বেঁধে তাহলে  আমি আপনাকে বলবো আপনি Legal Procedure গুলো ফলো করেন। যা আমি প্রথম দিকেই আলোচনা করেছি। যাই হোক আপনাকে এটা মাথা রাখতে হবে যে এ বিজনেসে ঢুকলে যে আপনি একদম লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা ইনকাম করবেন এই আশা করে প্রথমে আইসেন না। মনে করেন যে এই বিজনেসে হয়তো বা লসই হবে। সব বিজনেসে যে ফান্ডামেন্টাল ফ্যাক্ট টা কাজ করে এই জিনিসটা ঠিক একইভাবে কাজ করবে। মার্কেটটা কে ঠিকমতো বুঝতে হবে কাস্টমারদেরকে ঠিকমতো বুঝতে হবে এবং লস হবে এটা ভেবে আপনাকে নামতে হবে।

চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক ইমপোর্ট বিজনেসে আপনাকে কি কি করা যাবে না কি কি এভয়েড করে চলতে হবে এগুলো জেনে যাওয়া যায়:-



কোন অবস্থায় এমন কারো সাথে ডিল করবেন না যার কিনা আইআরসি কিংবা সমমানের কোন ডকুমেন্ট তার কাছে নাই। এইটা কিন্তু কখনোই করা যাবে না। ইমপোর্ট এক্সপোর্ট বিজনেস এর COD বা ক্যাশ অন ডেলিভারি এই জিনিসটা কিন্তু একদমই নেই আপনাকে আগে থেকেই পেমেন্ট করতে হবে। কিন্তু আপনার প্রোপার ডকুমেন্টেশনগুলো রেখে তারপর পেমেন্ট করবেন। দেশের যে পেমেন্ট লিমিট আছে সেইটার মধ্যেই পেমেন্ট করবেন। লিগ্যাল আইটেম এর মধ্যে ইলিগ্যাল আইটেম আনার চেষ্টা করবেন না। এগুলো কিন্তু অনেক সময় জেল জরিমানার কেস হতে পারে।

শুরুতেই কোটি টাকার প্রোডাক্ট না এনে আগে অল্প প্রোডাক্ট এনে দেখবেন মার্কেট ডিমান্ড কেমন। সব বিজনেস কিন্তু অল্প অল্প করে এগোই এই বিজনেসটাও কিন্তু সেম বাংলাদেশে কিন্তু চাইনিজ মার্কেট এবং এটার ডিমান্ড অনেক বড় এবং আশেপাশে দেখলে কিন্তু এটা বোঝা যায়। একই সাথে অন্যান্য সব দেশের সরকারের মত আমাদের দেশের সরকার ও স্বাভাবিকভাবে Import এ খুব বেশি জোর দিতে চায় না। কারণ একটা দেশ স্বাভাবিকভাবে চাবে সে যেন সেলফ সাফিসিয়েন্ট হয় সে ক্ষেত্রে যত ইম্পোর্ট এর উপর Dependency টা কমবে তত আপনার দেশের জন্য বেটার।

আজকের এই আর্টিকেলে কিন্তু আমি আপনাদেরকে এটা বলতে চাইছি না যে এই বিজনেস করা উচিত কি উচিত না। বা আমি কোন বিজনেস স্ট্রেটেজি নিয়েও আলোচনা করছি না। আমি শুধু তুলে ধরতে চেয়েছি ইমপোর্ট বিজনেস যদি করতে চান তাহলে কিভাবে হয়ে থাকে সাধারণত! যেহেতু ডিমান্ড আছে সাপ্লাই লাইনটা আপনাকে একটু ভালোভাবে ধরতে হবে আর ভালোভাবে করতে পারলেই ইউ আর সাকসেসফুল।

তো আজকে এটুকুই ছিল। আমার ব্লগ পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ব্লগ সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। আশা করি ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন খোদা হাফেজ।

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.