Subscribe Our YouTube Channel Subscribe!

রুট কি? ফোন রুট করার সুবিধা এবং ক্ষতি কি কি? বর্তমান সময়ে কি ফোন রুট করার কোনো প্রয়োজন আছে?

Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 


আজকের এই টিউনে আমরা ফোন রুট নিয়ে কিছু প্রশ্নের আলোচনা করবো এবং এই রুট সম্পর্কে অনেক কিছুই শিখতে পারবো। তঃ আজকে আর বেশি বক বক না করে চলুন মূল টপিক নিয়ে আলোচনা শুরু করি।

আমার কাছে ৪ টি প্রশ্ন আছে আমি পর্যায় ক্রমে সেগুলোর উত্তর দিচ্ছি।


রুট কি? 


একটা স্মার্টফোন যখন তৈরি হয় ফোনটা যখন পুরোপুরি তৈরি হয় তখন কোম্পানি থেকে সেই ফোনটিতে একটা সফটওয়্যার সেটআপ করে দেয়া হয়। এবং সেই সফটওয়্যারটি লক করে দেয়া হয়। লক করে দেই এই উদ্দেশেই যেনো আমরা সেই সফটওয়্যারটি কাটা ছিড়া করতে না পারি বা সফটওয়্যারটি পাল্টাতে না পারি। কোম্পানি যে এই সফটওয়্যারটি লক করে দিল এরপর আমরা যদি চাই ফোনটা থেকে সেই সফটওয়্যারটির কিছু পরিবর্তন করতে বা ফোনটি থেকে পুরোপুরি আউটপুট বের করে আনতে কিংবা ফোনের হার্ডওয়ারের যা যা ক্ষমতা আছে সেগুলো টেনে হিচডে ১০০% ক্ষমতাই যদি কাজে লাগাতে চাই তাহলে সেই সফটওয়্যারের লকটি আমাদের ভেঙ্গে ফেলতে হবে। এবং সেই লকটি ভেঙ্গে ফেলে হচ্ছে ফোন রুট করা। ফোনের মধ্যে Boatloader বলে একটা জিনিস আছে। ফোন যখন বন্ধ করা হয় অথবা অন করা হয় তখন সেটা পরীক্ষা করে যে ফোনের সফটওয়্যারটি ঠিকঠাক আছে নাকি কিছু পরিবর্তন হয়েছে। যদি কিছু পরিবর্তন হয়ে থাকে তাহলে সেই ফোন র Boat হতে দেই না এই Boatloader. এই Boatloader কে বোকা বানানোই ফোনে রুট করা। আজকাল কিছু কিছু ফোন কোম্পানি তাদের কিছু কিছু ফোনে আগে থেকেই এই Boatloader আনলক করে রাখে।

এখন নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন রুট কি। 


ফোন রুট করার সুবিধাগুলো কি কি?


ফোন রুট করলে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো আপনি নিজের ইচ্ছা মত যেকোনো ডিজাইনের কাস্টম রম আপনার ফোন ইনস্টল করতে পারবেন। আপনি One Plus এর ফোনে miui ইউজ করতে পারবেন realme এর ফোন 1ui ইউজ করতে পারবেন। এরকম যেকোনো ফোন আপনি যেকোনো কোম্পানির ফোনের সফটওয়্যার বা ইউজার ইন্টারফেস ইউজ করতে পারবেন। এমনকি আপনি চাইলে অ্যান্ড্রয়েডের বদলে অন্য কোনো অপারেটিং সিস্টেম ইউজ করতে পারবেন। আপনি যদি ফোন রুট করেন তাহলে আপনার ফোনের pre install করা অ্যাপগুলো আপনি চাইলে uninstall করতে পারবেন। যেসব অ্যাপ আপনি আগে ইউজ করতে পারেননি সেগুলো আপনি রুট করার পর ইউজ করতে পারবেন। রুট করার পর আপনি চাইলে যেকোনো অ্যাপ আপনার ফোন ইনস্টল করতে পারবেন। 


অনেক ফিচার আছে যেগুলো এখন আমরা এন্ডোয়েড এ পাই না। যে ফিচারগুলো বিভিন্ন কারণে তৈরি করেছে এবং আজ থেকে হয়তো ২ বছর পরে সেগুলো আমরা এন্ডোয়েড এ পাওয়া শুরু করবো কিন্তু আমরা যদি সেগুলো এখনই ইউজ করতে চাই তাহলে কি হবে? তাহলে সেই অ্যাপ গুলো আমরা ইনস্টল করবো কিভাবে? আমার ফোন হয়তো allow করছে না বা ইনস্টল হতে দিতে চাইছে না আমরা তখন রুট করা ফোন সেগুলো আনায়েসেই ইউজ করতে পারবো। যেকোনো থার্ডপার্টি অ্যাপ আমরা ইনস্টল করতে পারবো। 


লাস্ট পয়েন্ট যেটা সেটা হলো রুট করার পর আপনি আপনার ফোনের হার্ডওয়ারের সম্পূর্ণ ক্ষমতা ইউজ করতে পারবেন। একটা ফোনের সিপিইউ এর যতটুকু ক্ষমতা আছে কোম্পানি সম্পূর্ণ কার্য ক্ষমতা ব্যাবহার করতে দেই না কারণ এর ফলে আপনার ফোন গরম হয়ে যাবে এবং দ্রুত ব্যাটারি শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি রুট করার পর সিপিইউ এর সম্পূর্ণ ক্ষমতাই কাজে লাগাতে পারবেন। এরকম আরো অনেক ছোট বড় কাজ আপনি করতে পারবেন যেগুলো রুট করার আগে করতে পারেন নি।


ফোন রুট করার ক্ষতিগুলো কি কি?


ক্ষতির দিকে প্রথম পয়েন্টেই বলবো ফোন রুট করার পর হার্ডওয়ারের সম্পূর্ণ ক্ষমতা ইউজ করতে পারবেন ঠিকই কিন্তু সেখানেই বিপদ লুকিয়ে আছে। আমি প্রথম রুট করা শিখেছিলাম One Plus এর একটি ফোনে। ভাবুন এত দামী একটা ফোনে আমার কাছে সাউন্ড কোয়ালিটি তেমন ভালো ছিল না। সাউন্ড অনেক কম হতো তাই আমি রুট করে ফোনের স্পিকার এর সাউন্ড টা একটু বাড়িয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু এর ফোন ফোনের স্পিকার সেটা সহ্য করতে না পেরে স্পিকার টি ফেটে গিয়েছিল। আমরা যখন কোনো ফোন থেকে বেশি আউটপুট বের করে নিতে চাই তখন প্রায়ই এটা হয় যে আমরা সেই হার্ডওয়্যার এর উপর অত্যাধিক চাপ দিয়ে থাকি এবং লিমিট বুঝি না তাই সেই হার্ডওয়ারের খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কোম্পানি যখন একটা ফোন তৈরি করে তখন তারা সবকিছুর উপর একটা লিমিট সেট করে দেয় বা একটা ব্যালান্স করে দেয়। রুট করার ফলে সেই লিমিট টা আমরা ক্রস করে ফেলি এর ফলে ফোন ক্ষতির দিকে এগিয়ে যায়।


দ্বিতীয় পয়েন্টে বলা যায় ফোন রুট করার ফলে এর সিকিউরিটি নষ্ট হয়ে যায়। একটা ফোন কোম্পানি যখন দিচ্ছে সেটাতে সিকিউরিটি অনেক বেশি থাকে এবং ভাইরাস আক্রমণের ক্ষমতা অনেক কম থাকে। কিন্তু ফোন রুট করার পর ফোনের মধ্যে সেই সিকিউরিটি আর থাকে না। ফলে খুব সহজেই ফোনটি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে এবং আপনার মূল্যবান ডাটা নষ্ট হয়ে যেতে পারে অথবা চুরি হয়ে যেতে পারে। 

এমন কি ফোন রুট করার ফলে ফোনটি Brick হয়ে যেতেও পারে।

আবার ফোন রুট করার ফলে কোম্পানির দেয়া ওয়ারেন্টি নষ্ট হয়ে যাবে। রুট করা ফোনে কোম্পানি কোনো ওয়ারেন্টি দেবে না এবং পরবর্তী কোনো আপডেট রুট করা ফোন আসবে না।


এই যুগে মানে ২০২১ সালে কি ফোন রুট করার কোনো প্রয়োজন আছে? 


একসময় ফোন রুট করা খুবই আকর্ষণীয় ব্যাপার ছিল। সেই সময় অ্যান্ড্রয়েডে আমরা অনেকগুলো ফিচার পেতাম না। অ্যান্ড্রয়েড অনেক লিমিটেড ছিল। ফলে বাড়তি অনেক ফিচারগুলো পাওয়ার জন্য আমাদের ফোন রুট করার প্রয়োজন হতো। কিন্তু বর্তমান সময়ে সেই সব ফিচার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে পাওয়া যায়। অফিসিয়াল ভাবেই অনেক ফিচার ফোনগুলোতে দেয়া থাকে। তাই সামান্য কারণে ফোন রুট করে ফোনকে ক্ষতির দিকে এগিয়ে দেয়ার কোনো মানে হয় না। এজন্যই বর্তমান সময়ে ফোন রুট করার কোনো প্রয়োজন আমাদের নাই।


আজ এ পর্যন্তই। টিউন টি ভালো লাগল অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এবং পরবর্তী পোস্টে কি চান সেটা জানাবেন। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন

||খোদা হাফেজ||

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.