Subscribe Our YouTube Channel Subscribe!

মক্কার দর্শনীয় কিছু স্থান ও কয়েকটি বিশিষ্ট স্থানের পরিচয়। মক্কায় গেলে অবশ্যই এই স্থানগুলো দেখে আসা উচিত।

Please wait 0 seconds...
Scroll Down and click on Go to Link for destination
Congrats! Link is Generated

 


মক্কার দর্শনীয় স্থানগুলো

আসসালামু ওয়ালাইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে এই করোনা মহামারীর মধ্যেও সুস্থ আছেন ভালো আছেন। আজকের টিউন টি একটু ভিন্ন ধরনের। আজকে কোনো টেকনোলজি বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি না। আজকে আমি আলোচনা করবো মক্কার দর্শনীয় কিছু স্থান ও কয়েকটি বিশিষ্ট স্থানের পরিচয় নিয়ে। আপনারা অনেকেই হয়ত কোনো দিন মক্কায় হজ্ব করতে যাবেন বা কোনো এক কারণে যাবেন। যে কারণেই যান না কেনো আপনাদের কাছে আমার একটা অনুরোধ নিচের স্থান গুলো অবশ্যই ঘুরে আসবেন। আমি ধাপে ধাপে মক্কার ১৮টি দর্শনীয়  স্থান ও বিশিষ্ট স্থানের পরিচয় তুলে ধরলাম --



১/মাতাফ-

কাবাঘরের চারদিকে অবস্থিত তওয়াফের স্থানকে 'মাতাফ' বা চত্বর বলা হয়।


 *হাজরে আসওয়াদ বা কালাে পাথর-

হাজরে আসওয়াদ কাবা শরিফের দক্ষিণ-পূর্বকোণে মাতাফ (তাওয়াফের জায়গা) থেকে দেড় মিটার ওপরে লাগানাে। হাজরে আসওয়াদ তাওয়াফ (কাবা শরিফ সাতবার চক্কর দেওয়া) শুরুর স্থান। প্রতিবার চক্কর দেওয়ার সময় এই হাজরে আসওয়াদে চুমু দিতে হয়। ভিড়ের কারণে না পারলে চুমুর ইশারা করলেও চলে। এটিও নিয়ম। ফ্রেমের মধ্যে মুখ ঢুকিয়ে পাথরে চুমু দিতে হয়। মুখ না ঢােকালে চুমু দেওয়া সম্ভব নয়। আর মুখ ঢােকাতে গিয়ে সৃষ্টি হয় প্রচণ্ড ভিড়। ধর্মপ্রাণ মুসলমান ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। হাজরে আসওয়াদের পাশে সৌদি পুলিশ দাড়ানাে থাকে ২৪ ঘণ্টা। মাথা ঢােকাতে বা চুমু দিতে গিয়ে কেউ যেন কষ্ট না পান, তা তারা খেয়াল রাখেন। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও চুমু দেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইন ধরে অপেক্ষা করেন।


২/মাকামে ইব্রাহিম-

কাবা শরিফের পাশেই আছে ক্রিস্টালের একটা বাক্স,

চারদিকে লােহার বেষ্টনী। ভেতরে বর্গাকৃতির একটি পাথর। পাথরটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ ও উচ্চতা সমান-প্রায় এক হাত। এই পাথরটিই মাকামে ইব্রাহিম। মাকাম শব্দের একটি অর্থ হচ্ছে দাঁড়ানাের স্থান। অর্থাৎ হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর দাড়ানাের স্থান। এই পাথরে দাড়িয়ে তিনি ঠিক কী কাজ করতেন, তা নিয়ে মতভেদ আছে। তবে তিনি এর ওপর দাঁড়িয়ে কাবা শরিফ নির্মাণ করেছেন-এটি সবচেয়ে বেশি নির্ভরযােগ্য। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর মু'জিজার কারণে শক্ত পাথরটি ভিজে তাতে তার পায়ের দাগ বসে যায়। আজও আছে সেই ছাপ। তামা ও আয়নার তৈরি বাক্সে রাখার আগ পর্যন্ত মানুষ পাথরটি হাতে ধরে দেখার সুযােগ পেয়েছে। এখন শুধু দেখা যায়, ধরা যায় না। মানুষের হাতের স্পর্শে ও জমজমের পানি দিয়ে ধােয়ায় পাথরটির ভেতরে কিছুটা ডিম্বাকৃতির গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। চার হাজার বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ার পর মাকামে ইব্রাহিমে এখনাে পায়ের চিহ্ন অপরিবর্তিত রয়েছে এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিশ্বাস করে, কিয়ামত পর্যন্ত অপরিবর্তিত থাকবে। ওপরে প্রতিটি ছাপের দৈর্ঘ্য ২৭ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ১৪ সেন্টিমিটার। পাথরের নিচের অংশে রুপাসহ প্রতিটি পায়ের দৈর্ঘ্য ২২ সেন্টিমিটার এবং প্রস্থ ১১ সেন্টিমিটার। দুই পায়ের মধ্যে ব্যবধান প্রায় এক সেন্টিমিটার। পাথরটিতে হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর পায়ের দাগের গভীরতা পাথরটির উচ্চতার অর্ধেক, ৯ সেন্টিমিটার। দীর্ঘদিন ধরে লাখ লাখ মানুষের হাতের স্পর্শে আঙুলের চিহ্নগুলাে মুছে গেছে। তবে ভালাে করে খেয়াল করলে এখনাে আঙুলের ছাপ বােঝা যায়। বােঝা যায় পায়ের গােড়ালির চিহ্ন। মাকামে ইব্রাহিমের কাছে বাঁ ঘেঁষে অনেক মুসল্লি নামাজ পড়েন, অনবরত চলে তাওয়াফ।


৩/কাবার গিলাফ-

আরবরা কাবাকে আবৃত করে রাখা কাপড়টিকে বলে কিসওয়া। আর আমরা বলি গিলাফ। হজের কয়েক দিন আগে থেকেই কাবা শরিফের গিলাফের নিচু অংশ ওপরের দিকে তুলে দেওয়া হয়। এতে কাবা শরিফের দেয়ালের বাইরের অংশ দেখা ও ধরা যায়। কাবা শরিফের দরজা ও বাইরের গিলাফ দুটোই মজবুত রেশমি কাপড় দিয়ে তৈরি করা হয়। গিলাফের মোট পাঁচটি টুকরো বানানো হয়। চারটি টুকরো চারদিকে এবং পঞ্চম টুকরোটি দরজায় লাগানো হয়। টুকরোগুলো পরস্পর সেলাইযুক্ত। প্রতিবছর ৯ জিলহজ কাবা শরিফের গায়ে পরানো হয় এই নতুন গিলাফ। সেই দিন হজের দিন। হাজিরা আরাফাত থেকে ফিরে এসে কাবা শরিফের গায়ে নতুন গিলাফ দেখতে পান। নতুন গিলাফ পরানোর সময় পুরোনো গিলাফটি সরিয়ে ফেলা হয়। প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন রেশম দিয়ে তৈরি করা হয় কাবার গিলাফ। রেশমকে রং দিয়ে কালো করা হয়। পরে গিলাফে বিভিন্ন দোয়ার নকশা আঁকা হয়। গিলাফের উচ্চতা ১৪ মিটার। ওপরের তৃতীয়াংশে ৯৫ সেন্টিমিটার চওড়া বন্ধনীতে কোরআনের আয়াত লেখা। বন্ধনীতে ইসলামি কারুকাজ করা একটি ফ্রেম থাকে। বন্ধনীটি সোনার প্রলেপ দেওয়া রুপালি তারের মাধ্যমে এমব্রয়ডারি করা। এই বন্ধনীটা কাবা শরিফের চারদিকে পরিবেষ্টিত। ৪৭ মিটার লম্বা বন্ধনীটি ১৬টি টুকরায় বিভক্ত। বন্ধনীটির নিচে প্রতি কোনায় সূরা আল-ইখলাস লেখা। নিচে পৃথক পৃথক ফ্রেমে লেখা হয় পবিত্র কোরআনের ৬টি আয়াত। এতে এমব্রয়ডারি করে ওপরে সোনা ও রুপার চিকন তার লাগানো হয়।


৪/কাবাঘর-

কাবাঘর প্রায় বর্গাকৃতির। এর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে আনুমানিক ৪৫ ও ৪০ ফুট। কাবা শরিফের দরজা একটি এবং দরজাটি কাবাঘরের পূর্ব দিকে অবস্থিত।


৫/মিযাবে রহমত-

বায়তুল্লাহর উত্তর দিকের ছাদে (হাতিমের মাঝ বরাবর) যে নালা বসানো আছে, তাকে ‘মিযাবে রহমত’ বলা হয়। এই নালা দিয়ে ছাদের বৃষ্টির পানি পড়ে।


৬/হাতিম-

কাবাঘরের উত্তর দিকে অর্ধবৃত্তাকার উঁচু প্রাচীরে ঘেরা একটি স্থান।


৭/জমজম কূপ-

দুনিয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের যত অনুপম নিদর্শন আছে, এর মধ্যে মক্কা শরিফে অবস্থিত ‘জমজম কূপ’ অন্যতম। জমজম কূপের ইতিহাস কমবেশি সবারই জানা। এ কূপের পানি সর্বাধিক স্বচ্ছ, উৎকৃষ্ট, পবিত্র ও বরকতময়। এ পানি শুধু পিপাসাই মেটায় না; এতে ক্ষুধাও নিবৃত্ত হয়। এ সম্পর্কে হজরত মুহাম্মদ (সা.) বাণী প্রদান করেছেন, এ পানি শুধু পানীয় নয়; বরং খাদ্যের অংশ এবং এতে পুষ্টি রয়েছে।


৮/জান্নাতুল মোয়াল্লা-

জান্নাতুল মোয়াল্লা মসজিদুল হারামের পূর্ব দিকে অবস্থিত মক্কা শরিফের একটি বিখ্যাত কবরস্থান। এই কবরস্থানে কোনো কবর বাঁধানো নয়, নেই কোনো কবরে নামফলকও। এখানে অনেক সাহাবির কবর আছে। আছে নবী করিম (সা.)-এর স্ত্রীদের কবর। এই কবরস্থানে হাজী সাহেবরা জিয়ারতে এসে নিজেদের মতো করে মোনাজাত করে থাকেন। আগে হজ করতে এসে কেউ মারা গেলে এখানে কবর দেওয়া হতো। স্থান সংকুলান না হওয়ায় এখন ভিন্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়।


৯/জাবালে নূর বা হেরা পর্বত-

মক্কার হারাম এলাকার কাছে জাবালে নূর বা হেরা পর্বত অবস্থিত। এই পর্বতে ওঠা-নামা বেশ কষ্টসাধ্য বিষয়। অথচ নবী করিম (সা.) এই পর্বতে ওঠা-নামা করেছেন নিয়মিত। তাকে খাবার দিতে হজরত খাদিজা (রা.) নিয়মিত এখানে যাতায়াত করতেন।


আরবি জাবাল শব্দের অর্থ পাহাড়, আর জাবালে নূরের অর্থ নূরের পাহাড়। এ পাহাড়ের উচ্চতা ৫৬৫ মিটার অর্থাৎ অর্ধকিলোমিটারের কিছু বেশি। জাবালে নূরের শীর্ষে আরোহণ করতে সময় লাগে সোয়া ঘণ্টার মতো, আর নামতে সময় লাগে আধা ঘণ্টা। শেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই গুহায় বসে ধ্যান করতেন এবং পবিত্র কোরআন শরিফের প্রথম আয়াত এখানে অবতীর্ণ হয়। এসব জায়গা দেখতে পাওয়া বেশ সৌভাগ্যের বিষয়। তাই হজের সফরে হাজী সাহেবরা এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চান না।


১০/জাবালে সাওর বা সাওর গুহা-

জাবালে সাওর। এটি কাবা শরিফ থেকে তিন মাইল দূরে অবস্থিত। জাবাল মানে পাহাড়, সাওর অর্থ গুহা। হিজরতের সময় মক্কা থেকে মদিনায় যাওয়ার পথে শত্রুর হাত থেকে বাঁচতে হজরত আবু বকর (রা.)-কে নিয়ে সাওর পর্বতের গুহায় আশ্রয় নিয়েছিলেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তিন দিন তিন রাত তারা এই গুহায় কাটিয়েছেন। শত্রুরা খুঁজতে খুঁজতে চলে গিয়েছিল গুহার খুব কাছে। কিন্তু গুহামুখে মাকড়সার জাল দেখে ফিরে যায় তারা। এই তথ্য আমাদের অনেকেরই জানা।


এই পাহাড়ের প্রবেশ মুখে একটি বড় সাইনবোর্ডে দর্শনার্থীদের পাহাড়ে উঠতে নিষেধ করা আছে। লেখা আছে, এই পর্বতে আরোহণ করার মধ্যে কোনো অতিরিক্ত সওয়াব নেই। তার পরও হাজী সাহেবরা এখানে আরোহণ করেন বেশ উৎসাহ নিয়ে।


১১/জাবালে রহমত-

আরাফা ময়দানের উত্তর-পূর্ব কোণে ছোট্ট একটি পাহাড় জাবালে রহমত। সমতল ভুমি থেকে এর উচ্চতা ৬৫ মিটার এবং মসজিদে নামিরা থেকে ১.৫ কি.মি. দূরে এ পাহাড়টি দাঁড়িয়ে আছে। পাহাড়ের মধ্যভাগে রয়েছে একটি বড় পাথর যেখানে দাঁড়িয়ে রাসূল (সা.) আরাফা দিবসের শেষ প্রহর থেকে সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনায় কাটিয়ে ছিলেন। সে সময় রাসূলের উটটি কেবলামুখী হয়েছিল।


১২/আরাফা ময়দান-

মক্কা শরিফ থেকে দক্ষিণ-পূর্বদিকে আরাফা প্রান্তর অবস্থিত। আরাফার উত্তর দিক পর্বত শ্রেণী দ্বারা বেষ্টিত। পবিত্র বায়তুল্লাহ থেকে ১৮ কি.মি. দক্ষিণ পূর্ব কোণে আরাফা। দুনিয়ার বুকে প্রথম মানব হজরত আদম (আ.) ও হজরত হাওয়া (আ.)-এর পুনঃমিলনের স্থান এটা। হজরত ইবরাহিম (আ.) সহ বহু নবী-রাসূল ও তাদের অনুসারীরা এ ময়দানে এসে আল্লাহর নিকট কান্না কাটি করেছেন। আরাফা ময়দান পূর্ব-পশ্চিমে প্রস্থে ৪ মাইল এবং দৈর্ঘে ৭-৮ মাইল। এ বিরাট ময়দান নিম গাছে গাছে ঢাকা ।


১৩/ মসজিদে নামিরা-

আরাফা ময়দানের অন্যতম উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় বস্তু মসজিদে নামিরা। হিজরি দ্বিতীয় শতাব্দীর মধ্যভাগে এটি নির্মিত হয়। আরাফার পশ্চিম সীমানার উপরে এটি অবস্থিত। আরাফার দিনে সম্ভবত রাসূল (সা.) এখানে দাঁড়িয়েই নামাজের ইমামতি করেন। মসজিদটি কয়েকবার পুনঃনির্মাণ এবং বর্ধিত করা হয় শেষ বারে পুনঃনির্মিত হয় সৌদী শাসনামলে। মসজিদের অধিকাংশ অংশ আরাফার মধ্যে এবং পশ্চিমাংশ আরাফার বাইরে রয়েছে। মসজিদটির আয়াতন ১১০,০০০ বর্গমিটার। এই মসজিদে রয়েছে ছয়টি মিনার, দশটি ডোম এবং দশটি প্রধান ফটক। এর নির্মাণ শৈলী বড়ই চমৎকার।



১৪/মসজিদে জিন-

সহিহ হাদিস থেকে জানা যায়, ইসলামের প্রথম দিকে জিনদের একটি প্রতিনিধি দল এখানে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে একাধিকবার এসেছেন। তারা মুসলমান হয়েছে ও কোরআন শিখেছেন। এখানে খুব সুন্দর একটি মসজিদ রয়েছে। ওই মসজিদকেই মসজিদে জিন বলা হয়।


১৫/জুরানাহ মসজিদ-

মসজিদ আল হারাম থেকে ১৬ কিলোমিটার পূর্বে হোনায়েনের পথে অবস্থিত জুরনাহ উপত্যকায়। ৮ হিজরির জুলকদ মাসে হোনায়েনের যুদ্ধে বিজয় লাভের পর এ স্থানে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুদ্ধলব্ধ গনিমতের মালামাল বণ্টন করেছিলেন। অতঃপর এ স্থান থেকে রাতের বেলা মক্কায় এসে ওমরা পালন করে মদিনার পথে রওয়ানা হন। ২৪ জুলকদ তিনি মদিনায় পৌঁছেন।


১৬/মসজিদে তানঈম-

‘মসজিদে আয়েশা’ নামে ব্যাপক পরিচিতি লাভকারী মসজিদই হলো ‘মসজিদে তানঈম’। কাবা শরিফ থেকে ৬ কিলোমিটার উত্তরে মক্কা-মদিনা রোডে (আল-হিজরাহ রোড) অবস্থিত এ মসজিদটি।


বিদায় হজের সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার স্ত্রী হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে তার ভাই আব্দুর রহমানের সঙ্গে হারামের বাইরে এখান থেকে ওমরার ইহরাম বাঁধার জন্য পাঠিয়েছিলেন। এ মসজিদটি ইসলামি শিল্পনৈপুন্যের এক অনুপম নিদর্শন। এ স্থান থেকেই মক্কাবাসীগণ ওমরার ইহরাম বেঁধে থাকেন।


প্রিয়নবি ও হজরত আয়েশার রাদিয়াল্লাহু আনহুর স্মৃতি বিজড়িত মসজিদ দুটি (মসজিদে জুরানাহ এবং মসজিদে তানঈম) হারামের সীমানার বাইরে অবস্থিত।


১৭/মক্কা জাদুঘর-

কাবা শরিফের কাছে উমরা মসজিদে যাওয়ার পথে অবস্থিত মক্কা জাদুঘর। এই জাদুঘরে প্রবেশের জন্য কোনো ফি নেই। জাদুঘরে আছে সৌদি আরবের প্রাচীন সংস্কৃতি, পোশাক-পরিচ্ছদ, আসবাব, বাদ্যযন্ত্র। আছে আরবি বর্ণমালা বিবর্তনের নিদর্শন। এক কোনায় রয়েছে পানির কূপ, কূপ থেকে পানি তোলার যন্ত্রপাতি। পাশের কক্ষে আছে প্রাচীন ধাতব মুদ্রার সংগ্রহ। মুগ্ধ হওয়ার মতো বেশ কিছু আরবি ক্যালিগ্রাফি আছে একটি কক্ষে। প্রতিটি কক্ষেই পাহারাদার আছেন। রয়েছে হাতে লেখা পবিত্র কোরআন শরিফ। হজরত উসমান (রা.)-এর আমলের কোরআন শরিফও আছে এই জাদুঘরে। আরও আছে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সম্পূর্ণ বংশলতিকা। আছে কুরাইশসহ আরবের বিখ্যাত গোত্র ও বংশের পরিচয়।


১৮/কাবার গিলাফ তৈরির কারখানা-

মক্কা শরিফের উম্মুল জুদ এলাকায় পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ তৈরির কারখানা। সময় থাকলে এটাও দেখে আসতে পারেন।


আশা করি আজকের এই আর্টিকেল আপনাদের ভালো লেগেছে। তঃ আজ এ পর্যন্তই। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন খোদা হাফেজ॥


Tags- সৌদি আরবের দর্শনীয় স্থান, তায়েফের দর্শনীয় স্থান, মক্কা শরীফের ইতিহাস, মক্কা শরীফের সবচেয়ে সুন্দর স্থান, পবিত্র নগরী মক্কার বিখ্যাত স্থান, মক্কার দর্শনীয় স্থানগুলো, 

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.