![]() |
আমার ছোট্ট এই ব্লগে আপনাদের আবারও স্বাগতম জানিয়ে শুরু করছি আজকের টিউন। ফাইভ জি নেট চালু হলেই গেমিং ফোন ছাড়াই চলবে সেরা গেম। সত্যিই অবিশ্বাস্য কথা কিন্তু এটা সম্ভব একদিন এটা হবে। প্রথমে একটু সাধারণ আলোচনা করে নেই মূল টপিক নিয়ে নিচের অংশে আলোচনা করা হবে।
এই টিউনের শুরুতেই বলতে চাই যে 5G নেট সার্ভিস যে আসতেছে সেটা নিয়ে আমরা তেমন কোনো আশাবাদী নয়। আমার জানি যে 3G বা 4G তে আমরা তেমন কোনো স্পীড পাই না। 5G এলেই আমরা আর তেমন কি স্পীড পাব বা ফাইভ জি নেট স্পিড যতটুকু ইমপ্রুভ হবে তাতে আমাদের কি লাভ হবে।আমাদের চিন্তা ভাবনা টা এরকমই আমরা উল্টো এটা নিয়ে ভাবি যে 5G শুধু আমাদের ক্ষতি করবে। একবার ভেবে দেখুন যখন টুজি নেট ছিল তখন কি আমরা নেট থেকে গান ডাউনলোড করব এটা ভাবতাম। আমরা কি ভাবতে পারতাম আমরা ইউটিউবে অনলাইন স্ট্রিমিং করবো। সেই সময় আমরা বাজার থেকে সিডি কিনে নিয়ে এসে গান শুনতাম ক্যাসেট প্লেয়ার কিনে নিয়ে এসে গান শুনতাম। কিন্তু যখন 3g নেট চালু হল তখন আমরা অনায়াসেই ইউটিউব থেকে ভিডিও স্ট্রিমিং সহ বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে গান ডাউনলোড করে সরাসরি ফোনের মেমোরিতে সংরক্ষণ করতে পারতেছি। আবার যখন 4G নেট চালু হল তখন আমরা সবাই ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে গেলাম।
ভেবে দেখুন যখন 3g 2g নেট ছিল তখন কি আর গেমাররা আজকের মত লাইভ স্ট্রিম করতো। মতো কি তখন আর এতগুলো গেমিং কমিউনিটি ছিল। আমরা ভেবেছিলাম 4G আসলে কি হবে সামান্য একটু স্পিড বাড়বে কিন্তু এই খুব সামান্য স্পিড বাড়ার কারণেই আমরা এখন গেম স্ট্রিম করতে পারি ইউটিউব, ফেসবুকসহ আরো বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় অহরহ লাইভে আসতে পারি। আমরা এখন ইউটিউবে রেগুলারলি ভিডিও দেখি। নেট স্পিড হয়তো সামান্যই পরিবর্তন হয়েছে বিশাল কিছু হয়নি। কিন্তু আমাদের চারপাশের পরিবেশ আমাদের ব্যবহারের পদ্ধতি সবকিছুতে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। আপনি ভেবে দেখুন কল অফ ডিউটি, পাবজি, ফ্রী ফায়ার, এসব গেমের কথা যেগুলো আমরা ডাউনলোড করার কথা ভাবতেই পারতাম না যখন আমাদের টুজি বা থ্রিজি নেট ছিল কিন্তু এখন ফোরজি নেট আশায় আমরা ২-৪ বা ১৫ মিনিট সময় নিয়ে অনায়াসেই সেই গেম গুলো ডাউনলোড করছি তারপর সেগুলো অনলাইনে প্লে করছি। এই অনলাইনে প্লে করাটা এটা কিন্তু আগে ভাবা যেত না।
5G যখন আসবে তখন হয়তো পাবজি ফ্রী ফায়ার এর মত গেম খেলার জন্য ডাউনলোড করার প্রয়োজনই হবে না। অবাক হচ্ছেন নিশ্চয়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি। সকল গেমগুলো Online Based হয়ে যাবে এজন্যই আমাদের গেমগুলো download করার প্রয়োজন হবে না। সব থেকে বড় কথা হচ্ছে আমাদের আর স্টোরেজের প্রয়োজন হবে না। আমরা সবকিছু ক্লাউড স্টোরেজ নির্ভর হয়ে যাবো। আমাদের কম্পিউটারে কোনো সিনেমা স্টোর করে রাখতে হবে না। যখন কোনো মুভি দেখতে ইচ্ছে হবে তখনই মাত্র 2 মিনিটে সেই মুভি ডাউনলোড করে দেখতে পারবো বা অনলাইন স্ট্রিম করতে পারবো। সেই সময়েই গুগল স্টাডির মত প্ল্যাটফর্ম গুলো জনপ্রিয়তা লাভ করবে। যে প্ল্যাটফর্ম গুলোতে আপনার ফোনের হার্ডওয়্যার এর প্রয়োজন হবে না। আপনি সেই সব প্ল্যাটফর্মের যে সার্ভার রয়েছে তাদের সেই সার্ভার এর হার্ডওয়্যার এর মাধ্যমে গেম প্লে করতে পারবেন। এর ফলে আপনার ডিভাইসের শক্তিশালী বা দামী প্রসেসর বা RAM এর প্রয়োজন হবে না। গেমিং কমিউনিটিতে এতটাই পরিবর্তন এসে যাবে তখন আমরা যখন দেখি CyberPunk এর গেমগুলো ঠিক সেরকম যুগ এসে যাবে 5G নেট চালু হলে। আমরা যেমন বলি 5G নেট চালু হলে অটোমেটিক গাড়ি চলবে সেগুলো তো হবেই তার সাথে আরো অনেক ছোট খাটো পরিবর্তন আসবে। ডাক্তাররা দূরে বসেই অপারেশন সহ অনেক ধরনের চিকিৎসা করতে পারবে জাস্ট রোবটের মাধ্যমে। রোবটের ব্যাপারটা তখন অন্য মাত্রায় চলে যাবে। এমন হবে যে দুটি দেশের মাঝে যদি যুদ্ধ হয় তখন মানুষ সরাসরি যুদ্ধে অংশ না নিয়ে রোবট দ্বারা যুদ্ধ করবে। 5G এসে গেলে শুধু উপকার হবে না এটার কিছু খারাপ দিকও রয়েছে। সেই সময় পৃথিবীর সকল কর্মক্ষেত্রের কাজ রোবট দিয়ে করানো হবে ফলে অনেক মানুষ কাজ হারাবে।
এখন হয়তো বুঝতে পারছেন 5G নেট চালু হলে Gameplay করার জন্য আমাদের দামী গ্রাফিক্স কার্ডের প্রয়োজন হবে না, বেশি দামের হাইফাই প্রসেসর ওয়ালা ফোন কিনতে হবে না। আমরা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাটফর্ম থেকে শুধুমাত্র হাইস্পিড এর নেট সংযোগ দিয়েই অনেক বড় বড় গেম প্লে করতে পারবো।
আজ এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন|| খোদা হাফেজ||
Tags:- 5G Network, 5G net service, Tech news, gaming ফোন ছাড়াই চলবে সেরা গেম,